অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘আমার নাম মো. হাচিব। আমার মরণের জন্য দায়ী আমার বউ, তার বাবা-মা ও তার পরিবার। তারা আমাকে অপমান করছে। আমার বউ আমাকে ছেড়ে অন্য ছেলের সাথে থাকে, তাই আমার বউকে ছারবেন না কেউ। খুব ভালোবাসি। ‘
হাসিব (২২) নামে এক যুবকের মরদেহের পাশে এ কথাগুলো লেখা একটি চিরকুট মিলেছে। মহিপুর থানার বিপিনপুর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডস্থ কালাম আকনের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে হাসিব নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসিব কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের হারিচ হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,হাসিব গত দুবছর আগে পারিবারিকভাবে মহিপুরের বিপিনপুর এলাকার লালমিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তারকে বিয়ে করে। প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহ, ঝগড়া, মারপিট চলত তাদের সংসারে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে হাসিব তার স্ত্রী আঁখি আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে। তারপর আঁখি আক্তার তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ক্ষোভে স্ত্রীর প্রতি অভিমান করে চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকেও এই মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
হাসিবের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কয়েক দিন পার হতেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় হাসিব। শাশুড়ির সহযোগিতায় হাসিব তার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন গত ছয় মাস আগে এবং আজ সেই ভাড়া বাসায়ই আত্মহত্যা করেন।
হাসিব পেশায় একজন জেলে ছিল। শুরুতে বাবার সাথে সাগরে মাছ ধরতেন তিনি, কিন্তু বিয়ের পর সংসারে কলহ শুরু হলে হাসিব মাছের আড়তে কাজ করতেন।
মহিপুর থানা পুরিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply